এই ভাষ্যটিতে লেখকেরা যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন যে সরকারগুলি, বিশেষ করে জি২০–র সদস্য দেশগুলি যারা ডিজিটাল উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাপী কর্মসূচি চালাচ্ছে, তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির (আইপি) সাইবার নিরাপত্তার জন্য সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের ধারণাটি বিবেচনা করা উচিত।
সাইবার নিরাপত্তার স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখা গোটা সমাজের প্রচেষ্টা হলেও যখন অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ দেখা দেয়, তখন সরকারগুলিকে তাদের তৎপরতা বাড়াতে হয়। বিশেষভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য হল তাদের মূল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে উদীয়মান প্রযুক্তিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার সক্ষমতা। জ্ঞান– ও–প্রযুক্তি–চালিত অর্থনীতির দিকে একটি রূপান্তরের সক্ষমতাও আসে মূলত আইপি দিয়ে। শিল্প নকশা, বাণিজ্য গোপনীয়তা ও সংবেদনশীল ব্যবসায়িক তথ্যের মতো ইনট্যাঞ্জিবল অ্যাসেট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর–এর ৫০০ কোম্পানির বাজার মূল্যের প্রায় ৮৭ শতাংশ, আর ট্যাঞ্জিবল অ্যাসেট মাত্র ১৩ শতাংশ।
নিজেদের আইপি ও মালিকানা জ্ঞান সুরক্ষিত করতে ব্যবসা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলি নিরাপদ ডেটা স্টোরেজ এবং নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) সিস্টেমের উপর নির্ভর করে। যাই হোক, কোভিড–১৯ অতিমারি চলাকালীন সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হওয়ার ঘটনাগুলির বৃদ্ধি প্রমাণ করেছে যে ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো এবং সাইবার–সক্ষম সিস্টেমগুলির উপর আস্থা প্রায়শই অযৌক্তিক। এই উদ্বেগ আরও জোরালো হল যখন প্রতিযোগী রাষ্ট্রগুলি তাদের সাইবার ক্ষমতাকে বেসরকারি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে, যেমন কোম্পানি, গবেষণা ল্যাব ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিরুদ্ধে, ব্যবহার করল।
আজকের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সাইবার ও প্রযুক্তি পরিবেশে রাষ্ট্রগুলি রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যে সাইবার গুপ্তচরবৃত্তিতে প্রচুর বিনিয়োগ করে। অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ঐতিহাসিকভাবে ‘সফট টার্গেট’–গুলির বিরুদ্ধে পরিশীলিত কৌশল ও কায়দা ব্যবহার করা হয়। সাইবার–সক্ষম অনধিকার প্রবেশ অ্যাকাডেমিয়া, স্টার্ট–আপ এবং ছোট–মাঝারি উদ্যোগগুলিকে, অসমভাবে প্রভাবিত করে, কারণ তাদের প্রায়শই কার্যকর প্রতিরোধমূলক ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সচেতনতা, দক্ষতা ও আর্থিক সংস্থান থাকে না।
এর নির্যাস হল: সাইবার নিরাপত্তার জন্য অর্থ খরচ হয়, কিন্তু একটি প্রতিযোগিতামূলক ভূ–অর্থনৈতিক পরিবেশে মূল্যবান আইপি–র সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও বেশি অর্থ খরচ হয়।
বেশিরভাগ দেশে আইপি সুরক্ষা ও সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া নিশ্চিত করার দায়িত্ব ব্যক্তিগত রাইটস হোল্ডারদের উপর বর্তায়। তাঁদের পেটেন্ট বা ডিজাইন নিবন্ধন করতে হবে, সংবেদনশীল বাণিজ্যিক তথ্য গোপন রাখা নিশ্চিত করতে হবে, লঙ্ঘনের অভিযোগের ক্ষেত্রে তদন্ত শুরু করাতে হবে, এবং সঠিক সাইবার নিরাপত্তা পরিষেবা পোর্টফোলিও সংগ্রহ করতে হবে।
এটি একটি যুক্তিসঙ্গত প্রত্যাশা কি না, তা বিতর্কিত। আমরা যদি আইপি–র এই প্রযোজকদের একটি দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও জাতীয় সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করি, তাহলে সাইবার নিরাপত্তা সুরক্ষার প্রয়োজনীয় প্যাকেজগুলি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের ভূমিকা থাকতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, শক্তিশালী আইপি অধিকার সুরক্ষাব্যবস্থা থাকলে তা প্রযুক্তির বৈধ স্থানান্তর থেকে উপকৃত হওয়া সংস্থাগুলির রপ্তানি কর্মক্ষমতাকে শক্তিশালী করে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এইভাবে, আমাদের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ মুকুট রত্নগুলির বিকাশের উপরিভাগ বলে যে সত্তাগুলিকে আমরা বিবেচনা করি, তাঁদের উপর একক দায় হিসাবে এত দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া যায় না।
বেশিরভাগ দেশে সাইবার নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মাত্রাটিই কিছুটা ওজনসম্পন্ন ব্যবস্থার গুরুত্ব কতটা তা চিহ্নিত করে। নরওয়ে, সৌদি আরব ও কাতারের মতো পণ্যসমৃদ্ধ অর্থনীতিগুলি আরও উদ্ভাবনের জন্য সার্বভৌম সম্পদ তহবিল প্রতিষ্ঠা করেছে, আর ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও চিনের মতো উদীয়মান দেশগুলি তা প্রতিষ্ঠা করেছে প্রধান পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলির অর্থায়নের জন্য৷
তাইওয়ান, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো ওইসিডি সদস্য দেশগুলি আরও এক ধাপ এগিয়েছে, এবং বিশ্বব্যাপী উদ্ভাবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সার্বভৌম পেটেন্ট তহবিল (এসপিএফ) চালু করেছে। এসপিএফ তহবিল বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়: যখন অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু প্রযুক্তির প্রয়োজন আছে বলে মনে করা হয় তখন তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে আইপি সম্পদ বা লাইসেন্স অধিগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া; জাতীয় পেটেন্ট–উৎপাদনকারী দানবদের অধিগ্রহণ প্রতিরোধ; একটি প্রতিযোগিতামূলক ওজন যোগ করা বা শিল্প চোকপয়েন্টগুলিকে মোকাবিলা করার জন্য অগ্রাধিকার ক্ষেত্রের মূল শিল্পগুলির দিকে সংস্থান প্রবাহিত করার জন্য।
গুরুত্বপূর্ণ আইপি–উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির সাইবার নিরাপত্তায় অপ্রতুল বিনিয়োগের সমস্যাটি মোকাবিলা করতে হলে সরকারগুলির উচিত আইপি–র সাইবার নিরাপত্তার জন্য একটি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল প্রক্রিয়া তৈরির কথা বিবেচনা করা। এটি সরকারগুলিকে তাদের উদ্ভাবন, গবেষণা ও উন্নয়ন বাস্তুতন্ত্রকে বড় মাত্রায় সাইবার নিরাপত্তার উন্নতির প্যাকেজ দেওয়ার সুযোগ দেবে। এছাড়াও এটি সরকারগুলির জন্য একটি আর্থিক প্রণোদনা তৈরি করবে যাতে অন্য রাষ্ট্রগুলিকে দায়িত্বশীল আচরণের বিদ্যমান নিয়মগুলি পালন করার জন্য চাপ দেওয়া হয়, যেমন অর্থনৈতিক সাইবার গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত না–হওয়া এবং তাদের আইসিটি পরিবেশটিকে আন্তর্জাতিকভাবে অন্যায় কাজের জন্য অপব্যবহার করতে না–দেওয়া।
আইপি সুরক্ষার জন্য একটি সার্বভৌম সম্পদ সাইবার নিরাপত্তা তহবিল কীভাবে কাজ করতে পারে?
আইপি সুরক্ষার জন্য ইতিমধ্যে বিদ্যমান ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন, ডব্লিউআইপিও–র বিভিন্ন ফান্ড–ইন–ট্রাস্ট ফর ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলিতে আইপি ব্যবস্থা ও সক্ষমতা বাড়াতে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে। সিঙ্গাপুর, ব্রিটেন (ইউকে) ও ফ্রান্স সহ ২০টিরও বেশি দেশের অগ্রগামী আরেকটি প্রক্রিয়া হল পেটেন্ট বক্স ট্যাক্স ব্যবস্থা। একটি পেটেন্ট বক্স সাধারণত নির্দিষ্ট যোগ্যতার মানদণ্ড পূরণ করে এমন বিভিন্ন ধরনের আইপি (বিশেষ করে পেটেন্ট) থেকে উৎপন্ন লাভের জন্য করছাড় দিয়ে থাকে।
কিছুটা আয়তনবিশিষ্ট সাইবার নিরাপত্তা তহবিল থাকলে তার মাধ্যমে সরকার জাতীয় বা ক্ষেত্রনির্দিষ্ট ঝুঁকির ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যবহার প্রসারের জন্য আরও ভাল জায়গায় থাকবে, একটি সহগামী জাতীয় স্তরের পরিষেবা পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারবে যা নির্বাচিত আইপি–প্রাসঙ্গিক সংস্থাগুলি্র ব্যবহারযোগ্য, এবং বিপদ সংক্রান্ত তথ্য আদান–প্রদানের জন্য একটি একত্রিত সুরক্ষিত প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করতে পারবে। ছোট ব্যবসা, অ্যাকাডেমিয়া ও গবেষণা ল্যাবগুলির জন্য একটি সাইবার নিরাপত্তা পোর্টফোলিও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, যেমন রাউটিং, মেল, ডেটা, অ্যাপ্লিকেশন ও ওয়েব নিরাপত্তার জন্য প্রিমিয়াম পরিষেবা।
সমস্ত সংস্থার আইপি সুরক্ষার জন্য একটিমাত্র উত্সর্গীকৃত তহবিল অবশ্য কার্যকরযোগ্য বা সম্ভবপর নয়৷ অগ্রাধিকার সুবিধাভোগীদের এমন আইপি প্রযোজকদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত যাদের কৌশলগত, অর্থনৈতিক বা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মূল্যবান হিসাবে বিবেচনা করা হয়, এবং যেগুলি উচ্চমূল্যসম্পন্ন সাইবার নিরাপত্তা বিধানের উপর উল্লেখযোগ্যভাবে নির্ভরশীল।
রাষ্ট্রীয় তহবিলের সুযোগ নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত যোগ্যতার মানদণ্ডের মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে:
❒ স্টার্ট–আপ বা এসএমই–র বাজারি মূলধনের পরিমাণ;
❒ তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত আর্থিক ও অ–আর্থিক মুনাফার প্রাপ্যতা;
❒ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সেই সত্তার নিবন্ধিত বা তৈরি করা আইপি–র গুণমান ও মূল্য।
শিল্প উন্নয়ন, বাণিজ্য প্রসার ও সাইবার নিরাপত্তার জন্য সরকারের পৃথক বাজেটের একটি অংশ থেকে এই তহবিল সংগ্রহ করা যেতে পারে। আদর্শভাবে এর পরিমাণ হবে বার্ষিক বাজেটের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ বা বিদ্যমান সার্বভৌম সম্পদ তহবিল থেকে একটি নির্দিষ্ট শতাংশ; এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা বিনিয়োগের জন্য পাবলিক পেনশন ফান্ড তৈরি করা যেতে পারে। একটি বিকল্প হল সরকারি–বেসরকারি অংশীদারিভিত্তিক তহবিলের উপর নির্ভর করা। যেমন, একটি শুল্ক প্রবর্তন করা যেতে পারে যেখানে প্রতিষ্ঠিত উচ্চপ্রযুক্তি শিল্প ও সাইবার নিরাপত্তা সংস্থাগুলিকে অবদান দিতে হবে স্থানীয় সরবরাহকারীদের অন্তর্ভুক্তি ও প্রসার, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং আরও কর্মশক্তি উন্নয়নের জন্য।
এই ধরনের সাইবার নিরাপত্তা সম্পদ তহবিলগুলি রাজ্য বা ফেডারেল স্তরে একক সত্তার এক্তিয়ারে পরিচালিত হতে পারে, তবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের মতো আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্যও ভূমিকা থাকতে পারে। তবে, যে এক্তিয়ারের অধীনে এই তহবিল থাকবে তার শাসন, প্রাতিষ্ঠানিক ও তত্ত্বাবধান ক্ষমতা দুর্বল হলে বৃহৎ বিনিয়োগ তহবিলগুলি দক্ষতার সঙ্গেও সঠিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অনিবার্যভাবে একটি চ্যালেঞ্জ থাকবে। সংসদীয় কমিটি, অডিট অফিস, এবং এমনকি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিরও বার্ষিক বা ষাণ্মাসিক ব্যয় ও কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে ভূমিকা থাকতে হবে।
এ কথা স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ যে একটি সার্বভৌম সম্পদ সাইবার নিরাপত্তা তহবিল মোটেই অপরাধী রাষ্ট্রের বা অ–রাষ্ট্রীয় খেলোয়াড়দের আইপি চুরি বা সংবেদনশীল ডেটা সংগ্রহ করার চেষ্টা থেকে বিরত করবে না। যাই হোক, এই মুহূর্তে শুধু কয়েকটি দেশ বিশ্বাসযোগ্যভাবে দাবি করতে পারে যে তাদের সাইবার নিরাপত্তা বিপদের পরিবেশ সম্পর্কে ভাল ধারণা আছে। ক্ষমতা, দক্ষতা ও তহবিলের ঘাটতির কারণে বেশিরভাগ অর্থনীতির দৃশ্যমানতার অভাব রয়েছে। একটি সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের মাধ্যমে সমন্বিত, কেন্দ্রীভূত ও মানসম্মত সাইবার নিরাপত্তায় বিনিয়োগ কিন্তু জাতীয় সরকারগুলিকে ডিজিটাল স্থিতিস্থাপকতা ও সাইবার প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে সক্ষম করবে।
অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত বিপর্যয়ের পরবর্তী পর্যায়ে উচ্চ বৌদ্ধিক সম্পত্তি মূল্যের সম্পদের উন্নয়ন ও সুরক্ষা অপরিহার্য হবে। এটি উদীয়মান অর্থনীতিগুলির মতোই উন্নত অর্থনীতিগুলির কৌশলগত স্বার্থের জন্যও অপরিহার্য হবে। প্রকৃতপক্ষে, গ্লোবাল সাউথ অর্থনীতিগুলি বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য হয়ে উঠেছে, এবং তারা বিদেশী সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে মূল্যবান আইপি উৎপাদন ও সংগ্রহ করে।
জি২০ সরকারগুলি ক্রমবর্ধমান ডিজিটালাইজড পরিবেশে ন্যায্য প্রতিযোগিতা প্রসারের দায়িত্ব বহন করে। এর মধ্যে আছে কার্যকর জাতীয় স্তরের পরিপক্ব সাইবার নিরাপত্তার স্তর নির্ধারণ, প্রতিষ্ঠা ও সম্পদ সংগ্রহ। এ ক্ষেত্রে শুধু বৌদ্ধিক সম্পত্তির সাইবার নিরাপত্তার জন্য নিবেদিত একটি সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের অন্বেষণ খুবই যুক্তিযুক্ত একটি বিষয় হবে।
ঊর্মিকা দেব একজন গবেষক ও বার্ট হোগেভিন হলেন অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউটের সাইবার ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়ের প্রধান। তাঁরা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সাইবার–সক্ষম আইপি চুরির বিরুদ্ধে উদীয়মান অর্থনীতিগুলিকে সমর্থন করার জন্য একটি প্রকল্পে কাজ করেন।