যখন বিশ্ব অবধারিতভাবে ডিজিটাইজড হচ্ছে এবং প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে, সেই সময় সাইবার নিরাপত্তা বিশ্বজুড়ে সরকার ও সংস্থাগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত। তা সত্ত্বেও স্থিতিশীল উন্নয়ন নিয়ে আলোচনায় এই বিষয়টিকে প্রায়শই উপেক্ষা করা হয়। এ এক উল্লেখযোগ্য অবহেলা, কারণ সাইবার বিপদ অর্থনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।
জি২০ দারিদ্র্য, বৈষম্য ও জলবায়ু পরিবর্তন সহ স্থিতিশীল উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় মনোনিবেশ করেছে। ২০২২ সালে জি২০ বালি সম্মেলনে নেতাদের ঘোষণায় জোর দিয়ে বলা হয়েছিল, কোভিড–১৯ অতিমারি ডিজিটাল বাস্তুতন্ত্র ও ডিজিটাল অর্থনীতির রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করেছে এবং স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্যে (এসডিজি) পৌঁছনোর ক্ষেত্রে ডিজিটাল রূপান্তরের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে। জি২০নেতারা বিশেষভাবে স্বীকার করেছেন যে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ও ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের ও উচ্চমানের ডিজিটাল সংযোগ অপরিহার্য, এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে আস্থা ও বিশ্বাস বাড়ানোর জন্য একটি স্থিতিস্থাপক, নিরাপদ ও সুরক্ষিত অনলাইন–পরিবেশ প্রয়োজন। বিদেশি প্রভাবমূলক অভিযান, সাইবার হুমকি ও অনলাইন অপব্যবহারের মোকাবিলা করার গুরুত্ব এবং সংযোগ পরিকাঠামোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টিও জি২০ দেশগুলির অভিন্ন অগ্রাধিকার হিসাবে তুলে ধরা হয়েছিল। এটি সাইবার নিরাপত্তার উপর জি২০ প্রদত্ত পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতিগুলির উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেমন রাষ্ট্রপুঞ্জের ২০১৫ সালের আচরণের মানদণ্ড ও বাণিজ্যিক গুপ্তচরবৃত্তির উপর নিষেধাজ্ঞার স্বীকৃতি ।
এখন জি২০–র সাইবার নিরাপত্তার উপর আরও বেশি করে মনোনিবেশ করা এবং নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে এসডিজি অর্জনের প্রচেষ্টায় সাইবার নিরাপত্তাকে মূলধারায় আনার সময় এসেছে।
অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা বলতে বোঝায় একটি অর্থনীতির ধাক্কা বা বাধাগুলি সহ্য করা এবং তা থেকে পুনরুদ্ধারের ক্ষমতাকে। এর মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অর্থনৈতিক মন্দা, সাইবার আক্রমণ বা অন্যান্য ধরনের সংকট অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি একটি অর্থনীতিকে এই অবশ্যম্ভাবী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও কাজ করে যেতে এবং বৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে দেয়।
সাইবার স্থিতিস্থাপকতা, একইভাবে, ক্ষতিকারক আক্রমণ প্রতিরোধ ও তার পরবর্তী পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সংস্থা বা ব্যবস্থার ক্ষমতা বোঝায়। সাইবার স্থিতিস্থাপকতা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি একটি সংস্থাকে এই হুমকি সত্ত্বেও কাজ চালিয়ে যেতে এবং তার লক্ষ্য পূরণ করতে দেয়।
একটি আধুনিক অর্থনীতিতে এই বিষয়টি স্বতঃসিদ্ধ যে সাইবার স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি প্রতিষ্ঠানের সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ করা এবং তা থেকে নিজেকে পুনরুদ্ধার করার সক্ষমতা থাকে, তবে তার ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা কম এবং সে স্বাভাবিকভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারে। ফলে এটি নিশ্চিত হয় যে সামগ্রিক অর্থনীতিতে এই ধাক্কার প্রভাব হবে ন্যূনতম। সামগ্রিকভাবে, অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা ও সাইবার স্থিতিস্থাপকতা আন্তঃসংযুক্ত, এবং অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য একে অপরের উপর নির্ভরশীল।
রাষ্ট্রপুঞ্জ যখন শান্তি ও সমৃদ্ধির ব্লুপ্রিন্ট বলে কথিত ১৭টি এসডিজি–তে সম্মত হয়েছিল, তখন তারা এই পূর্ণ চেতনায় তা করেছিল যে ব্লুপ্রিন্টকে বাস্তবে রূপ দিতে প্রযুক্তি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে। কাউকে পিছিয়ে না–রাখার এসডিজি–র কেন্দ্রীয় প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হলে আমাদের প্রথমে দেশ, ক্ষেত্র ও ব্যক্তিদের মধ্যে ডিজিটাল বিভাজন বন্ধ করতে হবে।
কোভিড–১৯ অতিমারি অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করলেও বিশ্বের অনেক অংশে ডিজিটাল রূপান্তরের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস ইউনিয়ন (আইটিইউ) অনুমান করে যে ২০১৯ সাল থেকে প্রথম বারের মতো অতিরিক্ত ১.১ বিলিয়ন মানুষ অনলাইনে এসেছেন I সর্বশেষ সাসটেনেবল ডেভলপমেন্ট রিপোর্ট অনুযায়ী কোভিড–১৯ অতিমারির অর্থনৈতিক ও সামাজিক ধাক্কায় এসডিজি–র লক্ষ্যে ভারতের নিজস্ব অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ভারত এবং বৈশ্বিক দক্ষিণ জুড়ে ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করা গেলে তা হারানো সময় পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করবে। অনলাইনে ও ক্লাউডে প্রক্রিয়াগুলি সরিয়ে নেওয়া হলে তা সরকারগুলিকে গণপরিষেবা প্রদান ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সক্ষম করবে, বৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতা উন্নত করতে ব্যবসায়ীদের সহায়তা করবে, এবং ব্যক্তিদের ক্ষমতায়িত করবে তাঁদের অধিকার প্রয়োগ করতে।
উচ্চআয়ের দেশগুলিতে জীবনের একাধিক দিক প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল, এবং নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতেও এটি সত্য হয়ে উঠবে। যোগাযোগ, বাণিজ্য ও ব্যাঙ্কিং, স্বাস্থ্যসেবা বা শিক্ষার মতো মৌলিক পরিষেবাগুলির জন্য আমরা ক্রমবর্ধমানভাবে কম্পিউটার, স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীলতা দেখতে পাচ্ছি। প্রযুক্তির উপর এই নির্ভরতা অসাধারণ সুবিধা নিয়ে আসে, তবে তা নতুন দুর্বলতাও তৈরি করে। জাতি–রাষ্ট্র ও সাইবার অপরাধীরা এই দুর্বলতাগুলিকে ব্যবহার করতে পারে সংবেদনশীল তথ্য চুরি করতে, পরিষেবাগুলিকে ব্যাহত করতে, বা এমনকি ভৌত ক্ষতি করতে। একটি সফল আক্রমণের ফলে উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতি হতে পারে, একটি দেশের সুনাম নষ্ট হতে পারে, এবং নাগরিকদের ক্ষতি হতে পারে।
উদ্বেগজনকভাবে দেশগুলির এসডিজি–গুলি অর্জনের জন্য ১০ বছরেরও কম সময় আছে, এবং তবুও সাইবার হামলার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ক্ষতি ২০২৫ সালের মধ্যেই প্রতি বছর ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ধরনের আক্রমণ জীবন ও জীবিকাকে বিপদাপন্ন করে, এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধি মন্থর করা থেকে শুরু করে প্রযুক্তি, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা হ্রাস করা–সহ সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক পরিণতি নিয়ে আসে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, অনেক নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশ এখনও তাদের পরিকাঠামো ও প্রযুক্তি ব্যবস্থার উন্নয়ন করছে, যা তাদের বিশেষ করে সাইবার আক্রমণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। উপরন্তু সংস্থান ও দক্ষতার অভাব সরকার ও প্রভাবিত ব্যবহারকারীদের জন্য সাইবার ঘটনাগুলির বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিক্রিয়া ও পুনরুদ্ধার কঠিন করে তুলতে পারে।
অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা ও সাইবার স্থিতিস্থাপকতা উভয়কেই শক্তিশালী করার যুগ্ম চ্যালেঞ্জের মুখে, এবং এসডিজি–গুলির জন্য স্থিতিশীল সমাধানগুলিকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য অনুসরণ করতে, আমরা বিশ্বাস করি যে সাইবার নিরাপত্তাকে বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল উন্নয়ন অ্যাজেন্ডার মূলস্রোতে আনা উচিত।
জি২০ এই লক্ষ্যগুলোকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। যেমন, ভারত জি২০–র মাধ্যমে সর্বজনীন সাইবার নিরাপত্তার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যগুলি গ্রহণ করাতে পারে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য ও এসডিজি থেকে শিক্ষা নিয়ে এই উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যগুলি প্রযুক্তিগত, আইনি ও নীতিগত কাঠামোকে সংজ্ঞায়িত করতে পারে, এবং জাতীয় পর্যায়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাইবার নিয়মগুলির বাস্তবায়নে রাষ্ট্রগুলিকে সহায়তা করতে পারে, লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিশ্বব্যাপী সংস্থানগুলিকে একত্র করতে পারে, এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে সাইবার সক্ষমতা বৃদ্ধির সম্মিলিত সক্রিয়তাকে সহজতর করতে পারে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কৌশল বিকাশের জন্য সমর্থন, যেখানে কম্পিউটার সিকিউরিটি ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সিএসআইআরটি) বা কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (সিইআরটি) নেই সেখানে তা প্রতিষ্ঠা করা, সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম পরিবেশ গড়ে তোলা, নির্মাণ সক্ষমতা এবং প্রযুক্তিগত ও ফরেনসিক দক্ষতা তৈরি করা; গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর স্থিতিস্থাপকতা জোরদার করা, এবং সাইবার স্থিতিস্থাপকতা ও ঘটনা প্রতিক্রিয়া কাঠামোর উন্নয়ন।
দীর্ঘমেয়াদে কাঠামো বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য জি২০–র উচিত নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিকে তাদের সাইবার নিরাপত্তা ক্ষমতা উন্নত করতে প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া। এর মধ্যে থাকতে পারে:
❒ সক্ষমতা নির্মাণ প্রচেষ্টা সমর্থন: বর্তমানে অনেক দেশে নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবস্থা কার্যকরভাবে পরিচালনা এবং সুরক্ষিত করার জন্য সংস্থান ও দক্ষতার অভাব রয়েছে। জি২০ সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে পারে, যেমন প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান এবং উৎকৃষ্ট সাইবার নিরাপত্তা কেন্দ্র স্থাপনে সহায়তা করা। এটি এই দেশগুলির ব্যক্তি ও সংস্থাগুলিকে জ্ঞান ও দক্ষতা আহরণে সাহায্য করতে পারে, এবং সাইবার হুমকি প্রতিরোধ, সনাক্তকরণ ও প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সহায়তা করতে পারে।
❒ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার উন্নয়ন: সাইবার নিরাপত্তা একটি বৈশ্বিক সমস্যা যার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও একত্রে কাজ করা প্রয়োজন। জি২০ সদস্য দেশগুলির মধ্যে তথ্যের আদান–প্রদান ও সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা উন্নত হতে পারে। এটি এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে যে দেশগুলির সর্বশেষ তথ্য ও প্রযুক্তির সুযোগ রয়েছে, এবং তা সাইবার ঘটনার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে৷ তাছাড়া, যখন ঘটনা ঘটে তখন জি২০ বিভ্রান্তি ও সংঘাত কমাতে হয় সাইবারস্পেসে বিবাদের সমাধান ও বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে নতুন ব্যবস্থা তৈরি করতে পারে, বা বিদ্যমান ব্যবস্থাগুলি ব্যবহার করতে পারে।
❒ গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ: প্রযুক্তির অগ্রগতি ক্রমাগত সাইবার নিরাপত্তার জন্য নতুন সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। জি২০ সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে পারে, এবং নতুন প্রযুক্তি, সরঞ্জাম ও কৌশলগুলির বিকাশে সহায়তা করতে পারে, যা কিনা নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলিতে নিরাপত্তা ও স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এটি নিশ্চিত করতে সাহায্য করতে পারে যে এই দেশগুলির তাদের প্রয়োজনীয় প্রাসঙ্গিক সর্বশেষ উদ্ভাবন ও সমাধানগুলি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এর ফলে সাইবার হুমকি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী প্রয়াসে তাদের মিত্র হিসাবে গণ্য করতে সুবিধা হবে।
❒ উদাহরণ তৈরি করে নেতৃত্ব দেওয়া: জি২০ দেশগুলি তাদের নিজেদের দেশে শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে উদাহরণ তৈরি করে নেতৃত্ব দিতে পারে। এর মধ্যে সাইবার সিকিউরিটি পরিকাঠামোতে বিনিয়োগ, তাদের নিজস্ব সাইবার ইনসিডেন্ট রেসপন্স ক্যাপাসিটি তৈরি করা, এবং সাইবার সিকিউরিটি ইস্যুতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতা করার মতো বিষয়গুলি থাকতে পারে। একটি ভাল উদাহরণ তৈরি করে জি২০ দেশগুলি সাইবার নিরাপত্তাকে গুরুত্ব সহকারে নিতে এবং বৃহত্তর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতার উপযোগী একটি নিরাপদ বৈশ্বিক ডিজিটাল পরিবেশ তৈরি করতে অন্য দেশগুলিকে অনুপ্রাণিত করতে পারে।
পরিশেষে, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলির সাইবার নিরাপত্তা ও সাইবার স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে এবং তাদের নাগরিকদের ও অর্থনীতিকে সাইবার হামলার পরিণতি থেকে রক্ষা করতে ভারত ও জি২০–র উচিত এসডিজি–র মধ্যে সাইবার নিরাপত্তাকে মূলস্রোতে নিয়ে আসা। উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের উন্নয়ন, সক্ষমতা নির্মাণের প্রচেষ্টা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়ন, এবং গবেষণা ও উন্নয়নে সহায়তা করে ভারত ও জি২০ সাইবার স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে, এবং বিশ্বজুড়ে নিরাপদ ও সুরক্ষিত ডিজিটাল রূপান্তর ঘটাতে সাহায্য করতে পারে। দারিদ্র্যহ্রাস, লিঙ্গসমতা অর্জন ও জলবায়ু সংক্রান্ত ব্যবস্থার ক্ষেত্রে এসডিজি–গুলির চূড়ান্ত সাফল্য কিন্তু এর উপরেই নির্ভর করবে।
এই নিবন্ধটি ‘G20-Think20 TF-2: Our Common Digital Future: Affordable, Accessible and Inclusive Digital Public Infrastructure)’ ধারাভাষ্য সিরিজের একটি অংশ