২৯–৩০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের সভাপতি সাবা করোসির ভারত সফর আবারও রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসাবে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বিতর্ক উত্থাপন করেছে। সফরকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান গঠন ১৯৪৫–৪৬–এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। পৃথিবী বদলেছে এবং ক্ষমতার ভারসাম্যও বদলে গেছে, কিন্তু এই ঘটনাটি নিরাপত্তা পরিষদে প্রতিফলিত হয় না।’’ তিনি নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দিয়েছিলেন। তার কয়েকদিন আগে ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের উপ–স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আর রবীন্দ্রও একই কথা বলেছিলেন: ‘‘এটা স্পষ্ট যে অতীতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য তৈরি করা সেকেলে সিস্টেমগুলি ‘আজকের গতিশীল এবং পরস্পর–নির্ভরশীল বিশ্বের’ চ্যালেঞ্জের ভিড় মোকাবিলা করবে বলে আশা করা যায় না।’’ তিনি নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং ন্যায়সঙ্গত প্রতিনিধিত্বের প্রশ্নে আন্তঃসরকারি আলোচনার উপর প্লেনারির প্রথম বৈঠকে বক্তব্য রাখছিলেন। ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে মিশরের প্রেসিডেন্ট ফাতাহ আল সিসির দিল্লি সফরের সময়ও বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল।
রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রাথমিক অঙ্গগুলির মধ্যে একটি হল নিরাপত্তা পরিষদ। তার ৭৭ বছরের ইতিহাস সাফল্য ও ব্যর্থতার মিশ্র ইতিহাস। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য মৌলিক অঙ্গ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত পরিষদটি ১৫ সদস্য নিয়ে গঠিত, যার পাঁচটি ভিটো ক্ষমতাসহ স্থায়ী সদস্য (পি৫): মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, রাশিয়া, চিন ও ফ্রান্স। এরা বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী এবং তখনকার প্রধান সামরিক শক্তি। ১৯৪৫ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিষ্ঠার পর এই পাঁচটি দেশের একটি শক্তিশালী ভিটো ক্ষমতা–সহ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ কার্যত ‘স্বআরোপিত’, যার লক্ষ্য ছিল সম্মিলিতভাবে বিতর্ক করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এমন সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সমস্যার মোকাবিলার সময় প্রয়োজনীয় ভারসাম্য রাখা।
গত ৭৭ বছরে সবচেয়ে বড় যে সাফল্যের জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে কৃতিত্ব দেওয়া যেতে পারে তা হল তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়নি। এছাড়াও, পি৫ দেশগুলির মধ্যে কোনও সরাসরি সামরিক সংঘর্ষও হয়নি। তারা অনেক গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা সমস্যা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৫০ সালের কোরিয়ান যুদ্ধ, ১৯৯০ সালের কুয়েতে ইরাকের আক্রমণ, ১৯৯৩ সালের বসনিয়া, ২০০১ সালের আফগানিস্তান ইত্যাদির মতো বেশ কয়েকটি বিষয়ে পরিষদ সফলভাবে প্রস্তাব পাস করতে সক্ষম হয়েছে। ধরা যায়, যে কোনও দুটি পি৫ দেশের একটি সরাসরি সশস্ত্র সংঘাতের সব থেকে কাছে পৌঁছে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল ১৯৬২ সালে কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের সময়, যা রাষ্ট্রপুঞ্জের তৎকালীন মহাসচিব উ থান্টের প্রতিরোধমূলক কূটনীতির কারণে থামানো সম্ভব হয়েছিল। বছরের পর বছর ধরে জলদস্যুতা ও সন্ত্রাসবাদের মতো অ–প্রচলিত বিপদগুলিও নিরাপত্তা হুমকির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, এবং নিরাপত্তা পরিষদ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ২০০৮ সালের জলদস্যুতা–বিরোধী প্রস্তাবের মতো এই জাতীয় বিষয়ে প্রস্তাব পাস করতে সক্ষম হয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদের যথেষ্ট ব্যর্থতাও রয়েছে। ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইরাক আক্রমণ, ২০০৮ সালে জর্জিয়ায় রাশিয়ার যুদ্ধ, আরব–ইজরায়েল যুদ্ধ, ১৯৯৪ সালে রুয়ান্ডার গণহত্যা, ১৯৯৩ সালে সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধ, ১৯৯৫ সালের স্রেব্রেনিকা গণহত্যা এবং চলতি রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ সহ আরও অনেকগুলি উদাহরণ আছে যেখানে নিরাপত্তা পরিষদ হয় দেরিতে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, বা কোনও প্রস্তাব পাস করতে পারেনি, কারণ পি৫–এর মধ্যে কোনও একটি দেশ বিবাদের একটি পক্ষ ছিল এবং তার ভিটো প্রয়োগ করেছিল।
গত কয়েক দশক ধরে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পর্যালোচনা ও সংশোধনের জন্য বিভিন্ন বহুপাক্ষিক ও বৈশ্বিক ফোরামে বহুবার আহ্বান জানানো হয়েছে। ভারত, জাপান, জার্মানি ও ব্রাজিলের মতো দেশগুলিকে জি৪ গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলি স্থায়ী সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে। এছাড়াও এমন উদ্বেগও প্রকাশ করা হয়েছে যে আফ্রিকা থেকেও কোনও দেশ নেই, এবং তাই মিশর বা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো একটি দেশের কথাও বিবেচনা করা উচিত। যাই হোক, পি৫ এখনও হাল ছেড়ে দিতে প্রস্তুত নয়, এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদও অনেকাংশে বিভক্ত।
ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং আটবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হয়েছে, যার শেষতম মেয়াদ ছিল ২০২১–২০২২। বিশেষ করে গত দুই দশকে ভারতের বৃদ্ধির কাহিনির প্রেক্ষাপটে ভারত সরকারের একাধিক আহ্বানের পাশাপাশি অন্য অনেক আঞ্চলিক/বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম থেকেও নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। গত বছরটি এ ক্ষেত্রে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যখন রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, যখন পশ্চিমীরা পরিস্থিতি নিয়ে প্রায় হাবুডুবু খাচ্ছিল, তখন ভারতই বিশ্বনেতা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল এবং মঞ্চের কেন্দ্রে উঠে এসেছিল। দিল্লি শীঘ্রই বৈশ্বিক রাজধানী হয়ে ওঠে, এবং প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিখ্যাত উক্তি ‘আজকের যুগ যুদ্ধের যুগ নয় ’ এখনও অনেক বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম জুড়ে অনুরণিত হয়।
তবে, বিশ্বে ভারতের ভূমিকা প্রশংসিত হওয়ার এই একমাত্র কারণ নয়। ভারতের ঐতিহ্যবাহী বিদেশনীতির দৃষ্টিভঙ্গি অন্য দেশের বিষয়ে অ–হস্তক্ষেপকারী, অ–বিচারমূলক এবং অ-নির্দেশমূলক, এবং দেশটি প্রধানত কোনও আন্তঃআঞ্চলিক বিবাদে পক্ষ নেওয়া এড়িয়ে যায়। ভারত এমন একটি শক্তি হিসাবে স্বীকৃত করা হয়েছে যার কোনও বহির্দেশীয় উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই, এবং এই বিষয়টি বিশ্বে ব্যাপকভাবে সমাদৃত। পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে ভারতের ঘোষণা ‘প্রথম ব্যবহার নয়’ও একটি উল্লেখযোগ্য বিদেশনীতি বিবৃতি। সম্ভবত আধুনিক সময়ে যে কোনও রাষ্ট্রের দ্বারা প্রদর্শিত সংযমের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উদাহরণগুলির মধ্যে একটি ছিল ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ, যখন কৌশলগত সুবিধা হারানো এবং হতাহতের ঘটনা সত্ত্বেও ভারতের যুদ্ধবিমানগুলি উচ্চ নৈতিক মান বজায় রেখে নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করেনি।
ভারতের অর্থনীতির আকার উল্লেখযোগ্য, এবং সে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে প্রস্তুত। আন্তর্জাতিক মুদ্রাভান্ডার (আইএমএফ) আগামী অন্তত কয়েক বছরের জন্য ভারতকে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসাবে ধরেছে। ভারতের উত্থান নিয়ে আলোচনা করার সময় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এটি বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রোগ্রামগুলি–সহ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র বাহিনীর অধিকারী। উদ্ভাবন এবং উৎপাদন ভারতের সর্বশেষ মন্ত্র। এটি আগ্রাসীভাবে স্টার্টআপের প্রচার করছে, এবং ২০২২ সালে চিনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের বৃহত্তম সংখ্যক ইউনিকর্ন–এর (স্টার্টআপের মূল্য ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার বেশি) দেশ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। ভারতীয় প্রবাসী বা পিআইও’রা (ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি) সারা বিশ্বে কর্পোরেট এবং সরকারগুলিতে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত।
২০২৩ সালে ভারত দুটি শক্তিশালী বৈশ্বিক ফোরাম জি২০ ও এসসিও–র সভাপতিত্ব করার অনন্য বিশেষাধিকার পেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে যখন ভারত রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি ছিল, তখন এটি একই সাথে তিনটি মর্যাদাপূর্ণ প্রেসিডেন্সিতে অধিষ্ঠিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের বেশ কয়েকটি বৈশ্বিক উদ্যোগ বিশ্ব সম্প্রদায়ের দ্বারা গৃহীত হয়েছে, তা ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হোক বা এই বছর পালিত হওয়া বাজরার আন্তর্জাতিক বছর। ২০২২ সালে মিশরে কপ২৭ শীর্ষ সম্মেলনে গ্রহটিকে বাঁচাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন পরিচালনার উদ্যোগের ক্ষেত্রেও ভারত অগ্রণী ছিল, এবং ২০১৫ সাল থেকে সৌরশক্তি ব্যবহার করার জন্য আন্তর্জাতিক সৌরজোটের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
বিগত বছরগুলিতে, ভারত নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসন ছাড়াই বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের ভূমিকা অর্জন করেছে। চলতি রাশিয়া–ইউক্রেন সংঘাতে ভারতের কণ্ঠস্বর বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলেছে। ভারতই সম্ভবত একমাত্র প্রধান দেশ যার একইসঙ্গে আরব দেশ, ইজরায়েল ও ইরানের সঙ্গে স্বাধীন ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। মিশরের সঙ্গে অংশীদারিকে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরের পর ভারতের এখন পশ্চিম এশিয়ায় তিনটি কৌশলগত অংশীদারি রয়েছে (সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও মিশর)। তা ছাড়াও সমস্ত বিশ্বের সবচেয়ে অস্থির অঞ্চলটিতে ভারতের ইজরায়েলের সঙ্গে একটি বিশেষ কৌশলগত সম্পর্ক আছে, এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ফের ঝালিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া উভয়ের সঙ্গে ভারত কৌশলগত অংশীদারি উপভোগ করে, এবং উভয় দেশই তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসাবে বিবেচনা করে। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে শান্তিরক্ষায় এর ভূমিকা শান্তিরক্ষা–কার্যক্রমে সবচেয়ে বড় অবদানকারী হিসাবে নথিভুক্ত আছে। মার্চ ২০১৫ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরে ইয়েমেন থেকে তার নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার সময় ভারত শুধু তার নিজের লোকদেরই নয়, মোট ৪৮টি দেশের ১,৯৫০জন বিদেশি নাগরিককেও সরিয়ে এনেছিল। কেন? কারণ ভারতই ছিল একমাত্র দেশ যা যুদ্ধরত উভয় পক্ষের আস্থাভাজন, এবং উভয়েই অনুমতি দিয়েছিল মানুষকে সরিয়ে নিতে! ভারতকে বৈশ্বিক দক্ষিণের কণ্ঠ হিসাবেও বিবেচনা করা হয়, এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সম্প্রতি সমাপ্ত ‘ভয়েস অফ দ্য গ্লোবাল সাউথ’ শীর্ষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।
ভারতের যে ওজন রয়েছে এবং যেভাবে তা তুলে ধরা হচ্ছে, তা থেকে স্পষ্ট যে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী আসন থাক বা না–থাক, ভারত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান আকারে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ সেকেলে, অপ্রাসঙ্গিক ও কম–প্রতিনিধিত্বকারী। বিগত এক দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উইথড্রয়াল মোডে রয়েছে, এবং পশ্চিম এশিয়া, আফগানিস্তান প্রভৃতি দ্বন্দ্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। রাশিয়া দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। চিন বিতর্কিত ইন্দো–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বারবার দাদাগিরি করার চেষ্টা করছে। ইউকে বা ফ্রান্স আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুগের সামরিক বা অর্থনৈতিক শক্তি নয়। ভারত, এইভাবে, একমাত্র দেশ যার প্রভাব, অর্থনৈতিক ক্ষমতা ও সামরিক শক্তি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে প্রতিধ্বনিত হয়।
রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের আসন একটি পূর্বনির্ধারিত উপসংহার, তাই এটি আর ‘যদি’ নয়, বরং ‘কখন’–এর প্রশ্ন। তবে এই ইস্যুতে তার কূটনৈতিক পুঁজি বিনিয়োগ করার এবং নিজের জন্য প্রচার চালানোর পরিবর্তে ভারত সম্ভবত একটি শীর্ষস্থানীয় অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসাবে তার পুঁজি বাড়ানোর উপরেই নজর নিবদ্ধ করতে পারে, যাতে দেশটি এক দায়িত্বশীল ও বিশ্বস্ত বিশ্বনেতা, তথা প্রকৃত অর্থে ‘বিশ্বগুরু’ হয়ে
উঠতে পারে।